সিলেটের বিশ্বনাথে ‘উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা’র ব্যবস্থাপনায় এককালের খড়স্রোতা ‘বাসিয়া নদী’কে দুষণমুক্ত করতে ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগীতায় বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ‘উপজেলা কোর্ট পয়েন্ট হতে টিএন্ডটি মোড়’ পর্যন্ত বাসিয়া নদীর দুই তীরে প্রায় সাড়ে ৪শত মিটার অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, বাসিয়া নদীর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ৫ দিনের (২২-২৭ মার্চ) কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আর বিশ্বনাথ পৌরসভার নিজস্ব ডাম্পিং ষ্টেশন না থাকায়, ওই কার্যক্রম চলাকালে বাসিয়া নদী থেকে উত্তোলিত বর্জ্য ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)’র বর্জ্য ব্যবস্তাপনা বিভাগ তাদের নিজস্ব স্থানে নিয়ে ডাম্পিং করবে।
বাসিয়া নদীর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায়। তিনি বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগীতায় দীর্ঘদিন ধরে দখলে-দুষণে থাকা বাসিয়া নদীকে দুষণমুক্ত করার লক্ষ্যে বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নদীগুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই সিলেট অঞ্চলে গত ৩/৪ বছর ধরে অধিকহারে বন্যা হচ্ছে। তাই বাসিয়া নদীতে পানির প্রভাব ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আমাদের ওই উদ্যোগ। আগামীতে বাসিয়া নদীর দুই তীরের অবৈধস্থাপনাগুলো উচ্ছেদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে সকলের সার্বিক সহযোগীতার প্রয়োজন।
বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আলাউদ্দিন কাদেরের সভাপতিত্বে এবং পৌরসভার কার্য্য সহকারী জগন্নাথ সাহার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারাণ সম্পাদক লিলু মিয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মতিউর রহমান, থানার এসআই সাঈদ আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিপন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রকৌশলী ববি মজুমদার বলেন, আমাদের বর্জ্য রাখার জায়গা না থাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মহোদয় বাসিয়া নদীর এই বর্জ্যগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব দিয়েছেন ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)’র বর্জ্য ব্যবস্তাপনা বিভাগকে। ওই বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় প্রায় ৬/৭ টাকা ব্যয় হবে। তবে কাজ শেষে টাকার পরিমান কমবেশী হতে পারে। আর বর্জ্যগুলো সিসিকের ডাম্পিং ষ্টেশনে নিয়ে গিয়ে ডাম্পিং করবেন তারা।